স্বচালিত গাড়ি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য
স্বচালিত গাড়ি এমন একটি গাড়ি যে গাড়ি মানুষ চালের ছাড়াই পুরোপুরি একা চলতে পারে। এই গাড়ি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আজ জানাবো , স্বচালিত গাড়ি কি কি সুবিধা সব জানব।স্বচালিত গাড়ি দিয়ে কি কি ভালো হবে , স্বচালিত গাড়ি ভালো নাকি খারাপ , স্বচালিত বাড়ি কিসের চলে বিদ্যুৎ দিয়ে নাকি তেল দিয়ে এসব বিষয় আজকের এই পোস্টে জানাবো ।
সূচিপত্রএই গাড়ির মধ্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি এবং সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে গাড়িটি রাস্তা পরিবেশ এবং অন্যান্য গাড়ির সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং সঠিকভাবে চলতে পারে । চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক স্বচালিত গাড়ি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ।
স্বচালিত গাড়ির মূল প্রযুক্তি উপাদান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : স্বচালিত গাড়ির কোন চালক থাকে না কৃত্রিমভাবে একা একাই চলে তাই এই গাড়ির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রয়েছে । এ আই দ্বারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেয় যেমন যদি কোন বাধা সামনে আসে AI গাড়িকে ঘুরিয়ে দেয় বা থামিয়ে দেয় । এই গাড়ি প্রযুক্তির মাধ্যমে চলে কোন মানব চলক এ গাড়ি চালায় না ।
আরো পড়ুন : ওয়ালটন ইলেকট্রিক চুলার দাম ২০২৫
ভালো সংযোগ ব্যবস্থা : এ গাড়ির সংযোগ ব্যবস্থা ভালো রয়েছে, গাড়ি তার চারপাশে যানবাহন এবং রাস্তা সম্পর্কে তৎক্ষণিক তথ্য নিতে পারে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
নেভিগেশন ব্যবস্থা : জিপিএস ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়ির তার সঠিক অবস্থাণ এবং গন্তব্য সঠিকভাবে নির্বাচন নির্ধারণ করতে পারে । এই সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ি রাস্তার অবস্থা এবং যাতায়াতের সময়ও বুঝতে পারে। একেই বলে নেভিগেশন ব্যবস্থা।
সেন্সর এবং ক্যামেরা : গাড়ির চারপাশে পরিবেশ বুঝতে এবং ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি নেওয়া হয় এর মধ্য লিডার রাডার এবং আলট্রাসনিক সেন্সর অন্তর্ভুক্ত। লিডার লাইট ডিটেকশন এন্ড রেঞ্জিং এটি একটি প্রযুক্তি যা লেজার লাইট ব্যবহার করে রাস্তার বাধা ও অন্যান্য 3d ম্যাপ ব্যবহার করে। ক্যামেরার মাধ্যমে সবকিছু বুঝতে পারে।
স্বচালিত গাড়ির সুবিধা
ভ্রমণ সুবিধা ঃ ব্যবহারকারীদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে। আপনি গাড়িতে বসে যাত্রা শুরু করার সময় অন্যান্য কাজ করতে পারবেন যেমন মিটিং করা ফোনে কথা বলা ভিডিও কলে কথা বলা এ সবকিছুই চালিয়ে যেতে পারবেন। ভ্রমন করার সময় আপনার কোন সমস্যা হবে না .
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঃ গাড়ি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং ট্রাফিক জ্যাম হ্রাস করতে সক্ষম হবে। এটি শহরের সড়ক ব্যবস্থাকে আরো কার্যকরী করে তুলবে। এতে করে ট্রাফিক জ্যাম কম হবে এক্সিডেন্টের হার কমে যাবে ।
নিরাপত্তা বুদ্ধি ঃ মানবিক ভুলের কারণে প্রায় ৯০% দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্বচালিত গাড়ি শুধুমাত্র সেঞ্চুর এবং এই এর ব্যবহার করে সচেতনভাবে চলতে পারবে । ফলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে এতে করে ট্রাফিক জ্যাম কমবে এবং মৃত্যুর হার অনেক কম হবে ।
এতে বোঝা যায় সচালিত গাড়ি নিরাপত্তা বুদ্ধি অনেক বেশি। বয়স্ক মানুষ বা শারীরিকভাবে যারা সমস্যায় ভুগছে তাদের জন্য বেশ উপকারী হবে কারণ তারা গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আগের যে অনেক স্বাধীন হবে ।
স্বচালিত গাড়ির চ্যালেঞ্জ
ব্যবসায়িক এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঃ একে বাস্তবায়িত করতে বড় প্রযুক্তিগত অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ স্বচালিত গারির জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেম নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন।
আইনি সমস্যা ঃ সচলিত গাড়ির জন্য উপযুক্ত আইন এবং নীতিমালা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই ঘটনার ক্ষেত্রে আইনগত দায়-দায়িত্ব কিভাবে নির্ধারণ হবে তা স্পষ্ট নয় । কারণ এই গাড়ির মানব চালক চালাবে না কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা এ গাড়ি চলবে তাহলে কোন দুর্ঘটনা হলে সেই দুর্ঘটনার দায় কে নেবে এই আইন এখনো স্পষ্ট নয়।
হ্যাকারদের জন্য ঝুঁকি ঃস্বচালিত গাড়ি সংক্ষিপ্ত ডিভাইস গুলো এবং সিস্টেমের মাধ্যমে চলাচল করে। হ্যাকাররা যদি এই সিস্টেমে প্রবেশ করে তবে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হাতিয়ে নিতে পারে। এই কারণে নিরাপত্তা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর।
হ্যাকাররা যেমন মোবাইলের ডিভাইস থেকে মোবাইল হ্যাক করতে পারি, ইমেইল হ্যাক করতে পারে, তেমনি এই গাড়িও হ্যাক করতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে পুরো নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারের হাতে চলে যাবে ।
স্বচালিত গাড়ি যার মাধ্যমে চলে
তোমাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন থাকতে পারে স্বচালিত গাড়ি কিসের মাধ্যমে চলবে যদি মানুষই না চালায় । স্বচালিত গাড়ি বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে ,নাকি গ্যাসে মাধ্যমে চলে, নাকি তেলের মাধ্যমে চলে। এখন আপনাদের এটাই জানাবো সচলিত গাড়ি কিসের মাধ্যমে চলে ।
স্বচালিত গাড়ি সাধারণত দুই ধরনের শক্তি উৎস ব্যবহার করতে পারে বিদ্যুৎ অথবা পেট্রোল বা ডিজেল। তবে ভবিষ্যতে বেশিরভাগ স্বচালিত গাড়ি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে কারণ এটি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হতে পারে ।
বিদ্যুৎ দ্বারা স্বচালিত গাড়ি ঃ ইলেকট্রিক সচালিত গাড়িতে বৈদ্যুতিক মোটর থাকে যা কিছু ব্যবহার করে চলাচল করে। সে গাড়িগুলোর সুবিধা হল ঃ
পরিবেশবান্ধব এগুলো কোন ধরনের শব্দ দূষণ করে না কারণ এগুলোতে কোন খনিজ তেল বা গ্যাস ব্যবহার করা হয় না।বৈদ্যুতিক গাড়িতে মোটর এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ কম পরিধানে কাজ করে, তাই তাদের রক্ষণাবেক্ষণ তুলনামূলক খরচ তুলনামূলক কম।
বৈদ্যুতিক গাড়ি গুলি দ্রুত এবং স্মার্ট ভাবে চলতে পারে কারণ সেগুলিতে প্রচলিত ইঞ্জিনের মত গিয়ার শিফট বা অনেক অন্যান্য যান্ত্রিক প্রক্রিয়া থাকে।
পেট্রোল বা ডিজেল দ্বারা সজ্জালিত গাড়ি ঃ কিছু গাড়ি এখনো বিষয়ভিত্তিক ইঞ্জিন বা পেট্রোল ডিজেল ব্যবহার করে চলতে পারে তবে এটি এখন তেমন জনপ্রিয় নয়। গ্যাসের গাড়িতে কমপ্লেক্স ইঞ্জিন সিস্টেম এবং ব্যবহারিক রক্ষণাবেক্ষণ বেশি হয়, যেগুলো একটি সজ্জালিত গাড়ির জন্য বেশ কঠিন কাজ হতে পারে।
যদিও গ্যাস চালিত স্বচালিত গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এখন তোর বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করছে কারণ এটি ভবিষ্যতে স্থিতিশীল এবং টেকসই হবে। এবং খরচও অনেক কম হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক সচলিত গাড়ি বাজারে বেশি জায়গা করে নেবে। কারণ ঃ বিদ্যুৎ নির্ভর গাড়ির জন্য ইকো ফ্রেন্ডলি শক্তির উৎস খোঁজা হচ্ছে যেমন সৌর শক্তি। পেট্রোল ও ডিজেল থেকে দূষণ কমানোর জন্য সরকার এবং পরিবেশগত সংস্থাগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে আরও বেশি জোর দিচ্ছে । তাহলে বোঝা যাচ্ছে বিদ্যুৎ হবে ভবিষ্যতের প্রধান শক্তি উৎস স্বচালিত গাড়ির জন্য।
উপসংহার
আমরা অনেক মানুষ আছি যারা স্বচালিত গাড়ি সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা । তাদের জন্যই আমার এই একটি ছোট্ট পোস্ট অল্প কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে । আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে এবং ভালো লাগবে ।
আমরা আসলে অনেক অবাক হচ্ছি সচলিত করি এমন একটি গাড়ি যেটা মানব চালক চালাবো না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চলবে বিষয়টা ভাবলেই কেমন লাগে । এই ছিল আজকের সচলিতকারী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url